সুন্দরবনের কুখ্যাত দস্যু জাহাঙ্গীর বাহিনীর আস্তানা থেকে অস্ত্র-গোলাবারুদসহ জিম্মি থাকা ৮ জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন।
উদ্ধারকৃত জেলেরা হলেন-(১)আতিয়ার(২৮), পিতাঃ দেসার আলী সরদার, (২) আবুল খায়ের গাজী (২৪), পিতাঃ আবু সাইদ গাজী, (৩) মোশারফ হোসেন ঢালী (৬০) পিতাঃ মৃত মোঃ মালেক ঢালী, (৪) আলী (৫০),পিতাঃ মৃত মাদার আলী, (৫) মিজানুর রহমান (৩৭),পিতাঃ গনি হাওলাদার, (৬) জলিল গাজী (৩৫), পিতাঃ মৃত সবেদ আলী গাজী,(৭) কৃষ্ণপদ রপ্তান (৪৫), পিতাঃ যাদব রপ্তান ও (৮) সুগদেব মন্ডল (২৭)পিতাঃ অগর মন্ডল। এরা সকলেই খুলনার কয়রা উপজেলার বাসিন্দা।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, সুন্দরবনের কুখ্যাত ডাকাত জাহাঙ্গীর বাহিনী সুন্দরবনের শিবসা নদীর ছোট ডাগরা খাল এলাকায় কয়েকজন জেলেকে জিম্মি করে রেখেছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ১০ ডিসেম্বর বুধবার সকাল ৬টায় কোস্টগার্ড স্টেশন কয়রা এর একটি আভিযানিক দল ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযান চলাকালীন ওই এলাকা হতে ১টি একনলা বন্দুক, ৪ রাউন্ড তাজা কার্তুজ এবং ৭ রাউন্ড ফাঁকা কার্তুজসহ জিম্মি থাকা ৮ জন জেলেকে উদ্ধার করা হয়। এসময় কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা বনের ভেতর পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
উদ্ধারকৃত জেলেদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, জাহাঙ্গীর বাহিনীর সদস্যরা তাদের ৭ দিন ধরে জিম্মি করে রেখে মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে নির্যাতন করছিল।
উদ্ধারকৃত জেলেদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয় এবং জব্দকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত রাখতে কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।