কয়েক বছর আগে বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী মধুবন সিনেমা হলকে আধুনিকায়ন করে সিনেপ্লেক্স করা হয়। আশার আলো দেখলেও দুই ঈদ ছাড়া বাকি সময় খরচই তুলতে পারছিল না হলটি। এরপর চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ রাখা হয় সিনেপ্লেক্সটি। এর মধ্যে এবার, সিনেপ্লেক্সটি কমিউনিটি সেন্টার হিসেবে ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। খবরটি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন হলটির মালিকের বড় ছেলে এস এম ইউনুস।
হলটির দেখভালের দায়িত্বে আছেন এস এম ইউনুস। তিনি বলেন, ‘হল রেখে লাভ কী? চালাতে তো পারছি না। দুই ঈদ ছাড়া কর্মচারীর বেতনও ওঠাতে পারছি না। তাই হলের আউটডোরের অংশজুড়ে কমিউনিটি সেন্টার করছি। টিকে তো থাকতে তো হবে।’
কারণ হিসেবে সরকারের অসহযোগিতা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘সরকার কোনো সহযোগিতা করছে না। বারবার মিটিং করেছি, কোনো দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। আমাদের বিদেশি সিনেমা আমদানির সুযোগ দিতে হবে। শুধু হিন্দি না, হলিউড সিনেমা আমদানির সুযোগ সব হলকেই দিতে হবে।’
আগামী নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন বলে জানিয়েছেন এ হল মালিক। জানান, নতুন সরকার এলে দাবি জানাবেন। তাদের যদি সহযোগিতা পেলে সিনেমা হল থাকবে, না হলে একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
এর আগে হল বন্ধের বিষয়ে প্রথম আলোকে হলটির মালিক রোকনুজ্জামান ইউনুস জানিয়েছিলেন, দর্শক চাহিদা অনুযায়ী সিনেমার অভাব এবং সরকারের এই শিল্পের প্রতি অনীহার কারণে সামান্য দর্শক নিয়ে হল চালানো সম্ভব না। বিদ্যুৎ বিল, কর্মচারীদের বেতন টানা সম্ভব হচ্ছে না। পর্যাপ্ত দর্শকের অভাবসহ নানা বাস্তব কারণে কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে তারা। হলটির মালিক রোকনুজ্জামান ইউনুস বলেন, ‘এ সিদ্ধান্ত নেওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টের। কারণ, সিনেমা হল কেবল একটি ব্যবসা নয়, এটি আমাদের আবেগের জায়গা। কিন্তু এভাবে তো ব্যবসা টিকিয়ে রাখা যায় না। সিনেপ্লেক্স শুরুর পর খরচ অনেক বেড়েছে। তাই বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’